ইলেকট্রিক্যাল সেক্টরে ট্রান্সফর্মার একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস |এই ডিভাইসে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সংযোগ ব্যবহার করা হয় |সেই সংযোগগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো |
থ্রি ফেজ ট্রান্সফর্মার কানেকশন সাধারণত হয়ে থাকে, স্টার স্টার, ডেল্টা ডেল্টা, স্টার ডেল্টা এবং ডেল্টা স্টার |থ্রি ফেজ ট্রান্সফর্মার কানেকশনের এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো |
থ্রি-ফেজ ট্রান্সফরমার সংযোগ
তিন ফেজ ট্রান্সফরমার সংযোগ সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে
- স্টার - স্টার কানেকশন (Y - Y Connection)
- ডেল্টা - ডেল্টা কানেকশন (D - D Connection)
- স্টার - ডেল্টা কানেকশন (Y - D Connection)
- ডেল্টা - স্টার কানেকশন (D - Y Connection)
এছাড়া আরো দুই ধরনের সংযোগ রয়েছে
- ওপেন ডেল্টা কানেকশন (V - V Connection)
- স্কট কানেকশন (T - T Connection)
1. স্টার-স্টার কানেকশন
স্টার - স্টার সহজ পদ্ধতিতে তিনটি সিঙ্গেল ফেজ ট্রান্সফর্মার উভয় দিকে সঠিক পোলারিটি অনুযায়ী সংযোগ করা হয় | এ ধরনের সংযোগ ছোট, উচ্চ ভোল্টেজ ট্রান্সফরমারের জন্য বিশেষ উপযোগী |
কারণ ট্রানস/ ফেজ এর সংখ্যা এবং ইনসুলেশন এর পরিমাণ কম থাকে ( যেহেতু ফেজ ভোল্টেজ লাইন ভোল্টেজ এর ⅓ গুন ) প্রতিটা ট্রান্সফরমারের ট্রানসফর্মেশন রেশিও একই থাকলে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি সাইড এর লাইন ভোল্টেজ এর রেশিও একই হয় |
এটি 3 ফেজ ব্যালেন্স লোড এ ভালো কাজ করে, আনব্যালেন্স লোডিং এর সেকেন্ডারি নিউটন আদি অবস্থা হতে কিছুটা সরে যায় |
কারণ এখানে খুব কম মানের রেজিস্ট্যান্স অর্থাৎ শর্ট সার্কিট এর ন্যায় রেজিস্ট্যান্স, যেকোনো একটি ট্রান্সফর্মারের সেকেন্ডারী ও নিউট্রাল এর আড়াআড়িতে সংযোজন অবস্থার উদ্ভব হয় |
এর ফলে খুব অল্পমাত্রার কারেন্ট প্রবাহিত হয় ও নিউট্রাল বিন্দু আদি অবস্থা থেকে সরে যায় | ফলে লাইন টু নিউট্রাল ভোল্টেজে অসমতা দেখা দেয় |
যেকোনো একটি ট্রান্সফরমারের ফেজ এবং নিউট্রাল এর মাঝে রেজিস্টেন্স এর পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে ভোল্টেজ এর পরিমান কমে যায়, কিন্তু অন্য দুটি ট্রান্সফরমারের সাথে ভোল্টেজ এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় |এ ধরনের ত্রুটি কে ভাসমান নিউট্রাল বলে |
এই ত্রুটি সমাধানের জন্য, প্রাইমারি নিউট্রাল কে আর্ট করে সমাধান করা যায় | তাছাড়া সেকেন্ডারি ফেজ ভোল্টেজের ডিস্টর্শন দূর করা হয় |
স্টার স্টার পদ্ধতির সুবিধা সমূহ
- এটি step-up অথবা step-down হিসেবে ব্যবহার করা যায়
- এটি ব্যালেন্স লোড ভালো কাজ করে
- এটি ছোট হাই ভল্টেজ ট্রানসফর্মের জন্য খুবই কার্যকরী
- ফেজ এর বিবেচনায় ইন্সুলেশন খুবই কম লাগে কারণ ফেজ ভোল্টেজ লাইন ভোল্টেজ এর 1/1 .73
- ইন্সুলেশন স্ট্রেস লাইন 2 নিউট্রাল ভোল্টেজ এর শতকরা 58% হয়
স্টার স্টার পদ্ধতির অসুবিধা সমূহ
- ভাসমান নিউট্রাল ত্রুটির উদ্ভব হতে পারে
- আনব্যালেস লোডে ভালো কাজ করে না
- ডেল্টা স্টার বা স্টার ডেল্টা এর সাথে প্যারালালে ব্যাংকিং করা যায় না
2. ডেল্টা - ডেল্টা কানেকশন
ডেল্টা ডেল্টা সংযোগ পদ্ধতি অনুযায়ী ট্রান্সফরমারের উভয় দিকে পোলারিটি অনুযায়ী ডেল্টা সংযোগ হয়ে থাকে | এটি সাধারণত কম্পলটে যে ভাল কাজ করে | অসমান ভোল্টেজে ইহার কোন প্রকার অসুবিধা হয় না |
এদের লাইন টু লাইন ( প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি ) রেশিও এদের নিজস্ব রেশিও এর সমান | এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এইযে, কোন একটি ইউনিট খারাপ হয়ে গেলে বাকি দুটি বাকি দুটি দ্বারা ( V - V ) কানেকশনে সার্ভিস সাময়িকভাবে চালিয়ে নেওয়া যায় |
এতে ভাসমান নিউট্রাল ত্রুটি উদ্ভব হয় না | ডেল্টা ডেল্টা সংযোগ বেশি কারেন্টের জন্য উপযোগী কারণ ফেজ কারেন্ট লাইন কনটের 57.7% হয় |
স্টার স্টার সংযোগ আনব্যালেন্স ব্যবহার উপযোগী নয় | কারণ আনব্যালেন্স লোড ট্রান্সফরমারের কোর অত্যাধিক স্যাচুরেশন পর্যায়ে নিয়ে আসে ও ট্রান্সফর্মার ইন্সুলেশন অত্যাধিক স্ট্রেসের সৃষ্টি করে | ছাড়া উভয় ট্রান্সফরমারে ইম্পিডেন্স ড্রাপে অসমতার সৃষ্টি হয় |
ডেল্টা ডেল্টা সিস্টেমে ট্রান্সফর্মারের সেকেন্ডারী ওয়াইন্ডিং গুলো সঠিক পোলারিটিতে সংযোগ করতে হয়, তা না হলে অসম পোলারিটিতে সংযোগ করলে সিস্টেমে শর্ট-সার্কিট হবে |
ডেল্টা ডেল্টা সংযোগ এর সুবিধা সমূহ
- এটি বৃহৎ লো ভোল্টেজ ট্রান্সফরমার এর জন্য উপযোগী
- আউটপুট ভোল্টেজ সাইনোসাইডাল হয়ে থাকে
- আনব্যালেন্স লোডেও কোন অসুবিধা হয় না
- ব্যাংকিং এর একটি ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে গেলেও বাকি গুলো দ্বারা V - V সংযোগে ব্যবহার করা যায় | তবে স্বাভাবিক ক্যাপাসিটির 67% এর চেয়ে কম ক্যাপাসিটি তে 58% এ কাজ করে
- প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ভোল্টেজের মধ্যে কোন ফেজ ব্যবধান থাকে না
ডেল্টা ডেল্টা সংযোগ এর অসুবিধা সমূহ
- এতে ট্রান/ফেজ এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়
- নিউট্রাল সংযোগ পাওয়া যায় না
- V-V কানেকশন এই কাজ করার সময় পূর্ণ ক্যাপাসিটি পাওয়া যায় না
- স্টার ডেল্টা বা ডেল্টা স্টার এর সাথে প্যারালাল ব্যাংকিং করা যায় না
- তৃতীয় হারমনিক এক্সাইটিং কারেন্ট ডেল্টা ওয়েন্ডিং এ আবতর্ন আকারে প্রবাহিত হয়
3. স্টার - ডেল্টা কানেকশন
স্টার ডেল্টা সংযোগ পদ্ধতিতে প্রাইমারিতে স্টার এবং সেকেন্ডারিতে ডেল্টা সংযোগ করা হয় | এ পদ্ধতি সাধারণত স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমারের ব্যবহার করা হয় | এখানে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারী লাইন ভোল্টেজ রেশিও এবং ইহাদের নিজস্ব রেশিও এদের সমান হয় না | প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি লাইন ভোল্টেজ এর মধ্যে 30 ডিগ্রী ফেজ পার্থক্য থাকে | ট্রান্সমিশন লাইনের শেষ প্রান্তের সাবস্টেশন ভোল্টেজ কে কমানোর কাজে সাধারণত ব্যবহৃত হয় |
স্টার ডেল্টা সংযোগ এর সুবিধা সমূহ
- হাই ভোল্টেজ থেকে লো ভোল্টেজ পদ্ধতিতে ক্ষেত্রে উপযোগী
- লো ভোল্টেজ ডিস্ট্রিবিউশন সার্কিটের ক্ষেত্রে উপযোগী
স্টার ডেল্টা সংযোগ এর অসুবিধা সমূহ
- ডেল্টা ডেল্টা বা স্টার স্টার এর সাথে প্যারালালে ব্যাংকিং করা যায় না
4. ডেল্টা - স্টার কানেকশন
ডেল্টা স্টার সংযোগ পদ্ধতিতে প্রাইমারি ডেল্টা এবং সেকেন্ডারী স্টার সংযোগ হয়ে থাকে | এ পদ্ধতি ভোল্টেজ বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে |
বিশেষ করে প্রাইমারি ট্রান্সমিশন লাইনের শুরুতে ব্যবহৃত হয় | সেকেন্ডারি স্টার সংযোগ থাকায় মাত্র 58% ইনসুলেশন কাজ চালানো যায় |স্টার ওয়েন্ডিং কম কারেন্ট উপযোগী এর স্পেস ফ্যাক্টর উন্নত |
আনব্যালেন্স লোডে ভাসমান নিউট্রাল ত্রুটি উদ্ভব হয় না |এ সংযোগে ভোল্টেজ ওয়েব বিকৃতি বিহীন হয় |লাইন ভোল্টেজ এর গোল্ডেন রেশিও একই হয় না, কারন প্রতিটা ট্রান্সফরমারের ট্রানসফর্মেশন রেশিও অনুযায়ী হয় |
দিস্ট্রিবিউশন ট্রানসফর্মের এ পদ্ধতিতে সংযোগ করা হয় ( যেখানে সাধারণত ভোল্টেজ স্টেপ ডাউন হয়) বিশেষভাবে সেকেন্ডারি হতে নিউট্রাল এর সাহায্যে এক ফেজ সাপ্লাই নেওয়ার জন্য এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় |
এদের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি লাইন ভোল্টেজ রেশিও তাদের নিজস্ব রেশিও এর সমান হয় না | প্রতি ট্রান্সফরমারের ট্রানসফর্মেশন রেশিও এর 1/1.732 গুন হয় |
ডেল্টা সংযোগ এর সুবিধা সমূহ
- ইনসুলেশন এর পরিমাণ কম লাগে, মাত্র 58% ইন্সুলেশন কাজ চালানো যায়
- আনব্যালেন্স লোডে ভাসমান নিউট্রাল ত্রুটি উদ্ভব হয় না
- ভোল্টেজ ওয়েব বিকৃতি বিহীন হয়
- অধুনাকালে দিস্ট্রিবিউশন ট্রানসফর্মের হিসেবে বেশ জনপ্রিয়, কারণ সেকেন্ডারি হতে নিউটন এর সাহায্যে সিঙ্গেল ফেজ সাপ্লাই পাওয়া যায়
ডেল্টা স্টার সংযোগের অসুবিধা সমূহ
- প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি লাইন ভোল্টেজ এর মধ্যে 30 ডিগ্রী ফেজ পার্থক্য থাকায় ,ডেল্টা ডেল্টা বা স্টার স্টার এর প্যারালালে ব্যাংকিং করা যায় না
ওপেন ডেল্টা কানেকশন
ওপেন ডেল্টা পদ্ধতিতে দুটি সিঙ্গেল ফেজ ট্রান্সফরমারের ব্যাংকিং দ্বারা 3 ফেজ এর সরবরাহ রাখা যায়, তাকে ওপেন ডেল্টা সংযোগ বলে |
ডেল্টা ডেল্টা পদ্ধতিতে পাওয়ার সাপ্লাই দেওয়ার সময় যদি তিনটি ট্রান্সফরমারের মধ্য হতে একটি সরিয়ে নেওয়া হয়, অথবা কোন কারনে তিনটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে একটি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায়, তখন অবশিষ্ট দুটি ট্রান্সফর্মার দ্বারা 3 ফেজ কাজ চালিয়ে নেওয়া যায় |
ওপেন ডেল্টা পদ্ধতির সুবিধা সমূহ
- কোন কারণে ডেল্টা ডেল্টা পদ্ধতির একটি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গেলে, নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বাকি দুটি সাহায্যে পাওয়ার সরবরাহ দেওয়া যায়
- ওপেন ডেল্টা পদ্ধতিতে পাওয়ার সরবরাহ করার সময় অবশিষ্ট ট্রান্সফর্মার মেরামতের সুযোগ পাওয়া যায়
- অতি সহজেই প্রয়োজনে দুইটি ট্রান্সফরমারের সাহায্যে থ্রি ফেজ পাওয়ার সরবরাহ দেওয়া যায় | স্কট কানেকশনের মত ঝামেলা করতে হয় না
ওপেন ডেল্টা পদ্ধতির অসুবিধা সমূহ
- গড় পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান নোট পাওয়ার ফ্যাক্টরের তুলনায় কম হয় | এর মান ব্যালেন্স লোর্ড ফ্যাক্টরের 86.6% হয়ে থাকে
- ব্যালেন্স একক পাওয়ার ফ্যাক্টর বিশিষ্ট লোড না হলে দুইটি ট্রান্সফর্মার বিভিন্ন পাওয়ার ফ্যাক্টর কাজ করে|বর্ধিত লোডে প্রায়ই সেকেন্ডারি টার্মিনাল ভোল্টেজ অসম হওয়ার প্রবণতা থাকে | এমনকি সুষম লোডে ইহা ঘটে থাকে
- পূর্ণ ক্যাপাসিটি তে লোডে সরবরাহ দেওয়া যায় না
- ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর লোডে কাজ করার সময় ওপেন ডেল্টা সংযোগে একটি ট্রান্সফর্মার ল্যাগিং এবং অপর ট্রান্সফর্মার লিডিং এ থাকে, তাই আউটপুট ভোল্টেজ আনব্যালেন্স হয় | এমনকি লোড ইম্পিডেন্স ও ইনপুট ভল্টেজ ব্যালেন্স হলেও এই অসুবিধা হয়
স্কট কানেকশন
স্কট পদ্ধতিতে ও দুটি সিঙ্গেল ফেজ ট্রান্সফরমারের সাহায্যে 3 ফেজ পাওয়ার সরবরাহ করা যায় | এ পদ্ধতির দুইটি ট্রান্সফরমারের, একটি কে বলা হয় মেইন ট্রান্সফর্মার এবং অপরদিকে বলা হয় টিজার ট্রান্সফর্মার | টিজার ট্রান্সফরমারের ওয়াইন্ডিং এর মাত্র 86.6% কাজে লাগানো হয় |
টিজার ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি উভয়েরই একটি টার্মিনাল মেইন ট্রান্সফরমারের যথাক্রমে প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি মধ্যবিন্দুতে বৈদ্যুতিক ভাবে সংযুক্ত থাকে | এটা দেখতে অনেকটা ইংরেজি অক্ষর “T” এর মত হয়, তাই এই সংযোগকে “T -T” কানেকশন বলে |
Q1. ডিস্ট্রিবিউশন ট্রানসফর্মের কোন ধরনের সংযোগ দেওয়া হয় এবং কেন ?
ANS: ডিস্ট্রিবিউশন ট্রানসফর্মের ডেল্টা স্টার সংযোগ দেওয়া হয়, কারণ এতে গ্রাহকদের সংযোগ দেওয়ার জন্য সিঙ্গেল ফেজ এর প্রয়োজন হয় বিদায় এই সংযোগ দেওয়া হয়
Q2. ডেল্টা স্টার সংযোগ বেশি কারেন্টের জন্য উপযোগী কেন ?
ANS: ডেল্টা স্টার সংযোগে প্রাইমারিতে ডেল্টা ও সেকেন্ডারি তে স্টার সংযোগ থাকে বলে গ্রাহকদেরকে সংযোগ দেয়া হয়, তাই এ সংযোগ বেশি কারেন্টের জন্য উপযোগী
Q3. ওপেন ডেল্টা বা ভি ভি সংযোগ কি?
ANS: যে পদ্ধতিতে দুটি সিঙ্গেল ফেজ ট্রান্সফরমারের ব্যাংকিং দ্বারা থ্রি ফেজ এর সরবরাহ রাখা যায়, তাকে ওপেন ডেল্টা বা ভি ভি সংযোগ বলে
Q4. টি টি সংযোগ পদ্ধতি প্রয়োগ ক্ষেত্র কোথায় ?
ANS:
1. দুইটি সিঙ্গেল ফেজ ট্রান্সফর্মার দিয়ে তিন ফেজ সরবরাহ দেওয়ার জন্য |
2. থ্রি ফেজ হতে থ্রি ফেজ, থ্রি ফেজ হতে দুই ফেজ ,দুই ফেজ হতে থ্রি ফেজ সরবরাহ দেয়ার জন্য |