ইন্ডাকশন মােটরের স্কুইরেল কেজ রেটর, স্লিপরিং রােটর এবং ডাবল স্কুইরেল কেজ মােটর (The construction of Sleep ring rotor and double squirrel cage rotor of an induction motor)
ইন্ডাকশন মােটরের রােটর অবশ্যই ল্যামিনেটেড আয়রন শিটের তৈরি থাকে। রোটরের ফ্রিকুয়েন্সি, সাপ্লাই অনেক কম থাকে বিধায় এর ল্যামিনেশনের সাইজ কিছুটা পূরু থাকলেও খুব বেশি অসুবিধা হয় না।
গঠনের দিক দিয়ে তিন প্রকার। যথাঃ
- স্কুইরেল কেজ রােটর (Squirrel cage rotor)
- ফেজ উন্ড রােটর (Phase wound rotor)
- ডাবল স্কুইরেল কেজ রােটর (Double squirrel cage rotor)
নিম্মে স্লিপরিং রােটর এবং ডাবল স্কুইরেল কেজ রােটর গঠন বর্ণনা করা হল
ফেজ রােট বা স্লিপরিং মােটরের
স্কুইরেল কেজ রােটরের ইন্ডাকট্যান্স বেশি এবং রেজিস্ট্যান্স কমন থাকায় এবং এ স্টাটিং টক বর্ধিত করার মানসে ফেজ উক্ত টাইপ রোটর ব্যবহার হয়।
এ রােটরের রেজিস্ট পরিমাণে বাড়ানাের জন্য রােটরের তিন ফেজ ওয়াইন্ডিং সুপার এনামেল কপার ওয়ার (Wire) দ্বারা করানাে হয় ।স্টেটারের সম সংখ্যক পােল রােটরে থাকে। রােটরের এ তিন ফেজ ওয়াইন্ডিংস সাধারণত স্টার পয়েন্ট রােটরে রেখেই অন্য তিন প্রান্ত রােটরের শ্যাফট এ সংযুক্ত তিনটি স্লিপ রিং এ লাগানাে থাকে।
এ স্লিপ রিং এর সাথে বাহির হতে তিনটি রেজিস্ট্যান্স কার্বন ব্যাসের সাহায্যে সংযুক্ত করার ব্যবস্থা থাকে এবং রেজিসন্স এর মান কম বেশি করে মােটরের ট্যাটিং টর্ক কম-বেশি করা যায় এবং মােটরের গতিও নিয়ন্ত্রণ করা কিন্তু অপৰা দকে এর কপার লস (R) বেশি হয়।
ফলে এর কার্যক্ষমতা সুইরেল কেজ মােটরের চেয়ে কম এবং ১ দামেও বেশ । এরূপ মােটরকে অনেক সময় স্লিপ রিং মােটরও বলে। এরূপ ওয়াইন্ডিং খুব বড় বড় মােটরে ব্যবহার হয়।
ফেজ উন্ড বা স্লিপ রিং ইন্ডাকশন মােটরের সুবিধা, অসুবিধা ও ব্যবহার
স্লিপরিং মােটরের সুবিধাসমূহ
- রােটর সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স ইচ্ছামত বাড়ান যায় বলে মোটরের স্টাটিং র্টক বেশি হয় ।
- রােটর সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স প্রয়োজন মত বাড়িয়ে বা কমিয়ে এর গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
- অধিক পরিমাণ লােড নিয়ে স্টার্ট করার পক্ষে এ মােটর উপযোগী।
- রােটর রেজিস্ট্যান্স প্রয়ােজন মাফিক বন্ধি করে স্টার্টার ছাড়াই চালানো যায়।
স্লিপরিং মােটরের অসুবিধাসমূহ
- ইহা স্কুইরেল কেজ ইন্ডাকশন মােটর এর তুলনায় এর দাম বেশি।
- অতিরিক্ত এক্সটারনাল রেজিস্ট্যান্স হওয়ায় রােটর সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ফলে মোটরে পাওয়ার লস বেশি হয়।
- এ মােটরের দক্ষতা / ইফিসিয়েন্সি অপেক্ষাকৃত কম ।
স্লিপরিং মােটরের ব্যবহার
এ মােটরের গতিবেগ প্রয়ােজন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে যে পরিবর্তন করা প্রয়ােজন, তাতে এ মােটর বেশি ব্যবহৃত হয়। যেমন
- ক্রেন (Crane)
- লাইন শ্যাফট (Line shaft)
- পাম্প (Pump)
- লিফট (Lift)
- রােলিং মিলস (Rolling Mills)
- রেলওয়ে (Railway)
- জাহাজের ক্যাপস্টান (Ship capstan)
স্লিপ রিং মােটর অধিক লােড নিয়ে স্টার্ট নেয়া সম্ভব, কারণ
স্লিপ রিং মােটরের রােটরের রেজিস্ট্যান্স তুলনামূলক অনেক বেশি থাকে, তাছাড়া রােটর সার্কিটের রেজিস্ট্যান্স ইচ্ছামত বাড়ানাে যায় বলে মােটরের স্টার্টিং টক খুব বেশি হয়,
এমনকি রােটরের প্রতি ফেজের রেজিস্ট্যান্স তার স্থির অবস্থার রিয়্যাকট্যান্সের সমান করে। এ টর্কের মান “পুল আউট টক”-এর সমান বলা চলে।
তাই বেশি লােড দিয়ে চালু করার পক্ষে স্লিপ রিং ইন্ডাকশন মােটর অতিশয় উপযােগী।
ডাবল স্কুইরেল কেজ মােটর
ডাবল স্কুইরেল কেজ ইন্ডাকশন মোটর কাকে বলে?
সাধারণত স্কুইরেল কেজ ইন্ডাকশন মােটরের স্টার্টিং টর্ক খুব কম এবং স্টার্টিং এর সময় বিপাদক পরিমাণে কারেন্ট গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু এর রানিং পারফরমেন্স (Running Performance) খুবই ভাল।
অন্যদিকে উক্ত টাইপ রােটরের স্টার্টিং টর্ক খুবই ভাল, কিন্তু রানিং পারফরমেন্স খুব ভাল না। উপরােক্ত মােটর দুটির কেবল মাত্র সুবিধা টুর একই মােটরে সর্বদা উপস্থিত রাখার উদ্দেশ্যেই ডাবল স্কুইরেল কেজ মােটর তৈরি করা হয়।
এ মােটরের রােটরে দুটি ওয়াইভিং থাকে, একটি চিকন তারের বাহিরের দিকে যার রেজিস্ট্যান্স বেশি ইন্ডাকট্যান্স কম, অন্যটি রােটরের ভিতরের দিকে, মােটা তারের ওয়াইন্ডিং থাকে, যার রেজিস্ট্যান্স কম কিন্তু ইন্ডাকট্যান্স বেশি। উভয় ওয়াইডিং- এর প্রান্তসমূহ কপার রিং দ্বারা শর্ট করা থাকে।
ঠিক স্টার্টিং এর সময় নােটর ফ্রিকুয়েন্সি পাই ফ্রিকুয়েন্সির সমান থাকে, ফলে রােটরের ভিতরে ওয়াইং -এর ইন্ডাক্টিভ রিয়াকটাস (XL = 2zfL) খুব বেশি থাকে, ফলে ইম্পিড্যা বেশি হয় এবং কারেন্ট প্রবাহিত হয় না বললেই চলে। |
বাহরের ওয়াইন্ডিং এর ইম্পিড্যান্স কম থাকে, ফলে রেজিস্টি কয়েলে কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং ট্যাটিং টক বেশি হয় ।
মােটর কিছুক্ষণ চলার পর রােটর ফ্রিকুয়েন্সি কমে যায় ফলে ভিতরের ওয়াইডিং এর ইম্পিডেন্স কমে, কাজেই তখন সম্পূর্ণ কারেন্ট বাহিরের রেজিস্টিভ কয়েল দিয়ে প্রবাহিত না হয় ভিতরের কয়েল দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এ অবস্থায় রানিং পারফরমেন্স বেশ ভাল পাওয়া যায়। এ মােটর বেশ উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন হয় এবং ইহা কোন স্টার্টার ছাড়াই স্টার্টার দেয়া যায় ।
নাে-লােড অবস্থায় ইন্ডাকশন মােটরের পাওয়ার ফ্যাক্টর নিম্নমানের হয়, কারণ
নাে-লােডে ইন্ডাকশন মােটর প্রধানত ম্যাগনেটাইজিং কারেন্ট উৎপন্ন করে যা এয়ার গ্যাপে প্রয়ােজনীয় ফ্লাক্সের সৃষ্টি করে।
আরো পড়ুনঃ স্লো মোবাইল ফাস্ট করার উপায়।
এ ম্যাগনেটাইজিং কারেন্টের কারণেই পাওয়ার ফ্যাক্টর নিম্নমানের হয়। যখন মােটর লোডগ্রস্ত হয় তখনও এ ম্যাগনেটাইজিং কারেন্টের পরিমাণ প্রায় একই থাকে এবং এ কারেন্ট আবার ফুল লােড অবস্থায় মােটরের ইনপুট ক্যারেন্টের তুলনায় কম হয়, যার ফলে পাওয়ার ফ্যাক্টর আগের তুলনায় উন্নত হতে থাকে। এজন্য নাে-লােড় অবস্থায় মােটরের পাওয়ার ফ্যাক্টর নিম্নমানের হয়।